মৃত তানভির রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই এলাকার মো. নুরুল হক মাস্টারের ছেলে।
এ ঘটনায় ওই বাসার মালিক ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রেমিকার মায়ের বরাদ দিয়ে সদর থানার ওসি আকতার মোর্শেদ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তানভির রহমানের সাথে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের প্রেমের বিষয়টি পরিবারের সদস্যরাও জেনে যায়। তানভির প্রায়ই প্রেমিকার বাসায় আসা যাওয়া করত এবং রাত্রি যাপনও করত।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকালে তানভির রহমান তার প্রেমিকার বাসায় আসে। রাতের খাওয়া সেরে ঘরের দোতলায় প্রেমিকার কক্ষে ঘুমাতে যায় আর প্রেমিকা তার মায়ের সাথে নিচতলার একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে প্রেমিকার বাবা দোতলায় গিয়ে তানভিরকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলতে দেখে ভয়ে প্রথমে পুরো বিষয়টি গোপন রাখে। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তানভিরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া মৃত তানভির রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রেমিকার বরাদ দিয়ে ওসি জানান, রাতে তাদের দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ আদান প্রদান হয়েছে। দুজনের জব্দকৃত মোবাইল ফোন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।